প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে বোর্ড আর কোনো মন্তব্য করবে না বিসিবি। তবে একটি সূত্রে প্রথম আলো আগেই জেনেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন জাতীয় দলের একাধিক সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার, একজন কোচ, বিসিবির একটি সাবকমিটির একজন কর্মকর্তা ও তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
একুশে সিলেট ডেস্ক
গত ডিসেম্বর–জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত একাদশ বিপিএলের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াগত দুর্বলতার অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আজ বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের কাছে জমা দিয়েছে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি। বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
বিসিবি জানিয়েছে, আইসিসির নির্দেশনা মেনে সর্বোচ্চ গোপনীয়তায় ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করা হবে। প্রতিবেদনে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের ব্যাপারে বিসিবির গঠনতন্ত্র, আইসিসির দুর্নীতি দমন ধারা এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে তদন্তের স্বচ্ছতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষার্থে আপাতত কোনো নাম প্রকাশ করা হবে না। কমিটির সুপারিশগুলো খতিয়ে দেখে বিসিবি পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বিসিবি আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদনে বেশ কিছু জরুরি সংস্কার প্রস্তাব আছে, যেগুলো পরবর্তী বিপিএল আয়োজনে অপরিহার্য। ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি প্রতিরোধব্যবস্থা ও কাঠামোগত সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো আছে সেখানে। আগামী মাসের শেষ নাগাদ তদন্ত কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ বিপিএলে ওঠা স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. খালেদ এইচ চৌধুরী ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম।
বিসিবি জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে বোর্ড আর কোনো মন্তব্য করবে না। তবে একটি সূত্রে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন জাতীয় দলের একাধিক সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার, একজন কোচ, বিসিবির একটি সাবকমিটির একজন কর্মকর্তা ও তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
Leave a Reply